কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতাঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সে এবং দীর্ঘ সময় অর্থাৎ ৫১ বছর বয়সে প্রায় ৪ বছর পুলিশের আই জি পদে বহাল ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন নূর মোহাম্মদ।
তাঁর সততা, নিষ্ঠা আর পেশাদারিত্বের ছাপ রেখে আইজিপি পদটিকে নিয়ে যান একটি ব্রান্ড পর্যায়ে। ব্রিটিশদের করা সেই ১৮৬১ সালের আইনকে সংস্কার করে ২০০৮ সালে নতুন আইন করে পুলিশকে আধুনিক সুশৃঙ্খল বাহিনি হিসেবে গড়ে তুলেন। যা আজ পুলিশবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন।
পরবর্তীতে তিনি রাষ্ট্রদূত ও সচিব পদে অত্যন্ত সুনামের সাথে কর্মজীবন শেষ করেন। কর্মক্ষেত্রে যেমন দক্ষতা ও সফলতা দেখিয়েছেন ঠিক তেমনি রাজনীতির ময়দানেও নূর মোহাম্মদের সুনামের দ্যূতি ছড়িয়ে পড়ছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। চাকরিজীবনে তিনি সব সময় বলতেন আমি আমার চাকরিটা অনেক ভালোবাসি আর ভালোবেসেই কাজ করে যাচ্ছি। তিনি খুব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে কোন কাজ যদি সততা, নিষ্ঠা,পরিশ্রম আর ভালোবেসে করা যায় তবে সে কাজে সফল হওয়া যায়।
যেকোন ভালো কাজে জনসমর্থন প্রয়োজন। আর রাজনীতির ক্ষেত্রে জনসম্পৃক্ততার কোন বিকল্প নেই। তাইতো তিনি দিনরাত মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া। সাধারণ মানুষ তাঁকে কাছে পেয়ে যেমন আনন্দে আবেগ আপ্লুত হচ্ছেন। তিনিও সাধারণ মানুষকে বুকে জড়িয়ে তাদের আবেগ ভালোবাসার জবাব দিচ্ছেন।
চাকরিজীবনে ইচ্ছে থাকা সত্বেও বিভিন্ন বাধ্যবাধকতার জন্যে নিজে এসে এ সকল সহজ সরল মানুষের সাথে খুব একটা মিশতে না পারলেও, অবসরে যেয়ে এ সুযোগ হাত ছাড়া করছেন না। কটিয়াদি-পাকুন্দিয়াবাসী মনে করেন তাঁর কর্মজীবন নিয়ে যেমন কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে আদর্শ হয়ে আছেন ঠিক তেমনি জনপ্রতিনিধি হয়ে দেশবাসীর কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।